প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

হলোখানা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৭০ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি হলোখানা ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এবং এটি এলাকাবাসীর জন্য শিক্ষার একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে আসছে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পেছনে স্থানীয় সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অপরিসীম অবদান রয়েছে। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে তারা একযোগে কাজ করেন এবং এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে এটি একটি ছোট প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময়ের সাথে সাথে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। পরিবেশ ও অবকাঠামো:
হলোখানা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সবুজে ঘেরা, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মনঃসংযোগী ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে। এই পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হতে সাহায্য করে।শিক্ষার মান ও সাফল্য:
বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান অত্যন্ত চমৎকার। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করে চলেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ফলস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল অর্জন করছে এবং ভবিষ্যতে তাদের জীবনে সফলতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
হলোখানা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি হলোখানা ইউনিয়নের শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রতীক। বিদ্যালয়ের মনোরম পরিবেশ, চমৎকার শিক্ষার মান এবং সুশৃঙ্খল কার্যক্রম একে একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি নিরলসভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়।

সভাপতির বাণী

image-not-found

পড়! তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন (সূরা-আল্লাক্ব :১)। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদরাসা শিক্ষা শিক্ষাব্যবস্থাকে বেগবান ও আধুনিকায়ন করতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসসহ বিভিন্ন স্তরে তথ্য-প্রযুক্তি যে অবদান রাখছে তার জন্য বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। দেশের দ্বিমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষার বাস্তব সমন্বয় সাধন করে সঠিক ইসলামী আদর্শের বুনিয়াদে ১৩৭৯ সালে মাদরাসাটির শুভ সূচনা করেন আমার পিতা মরহুম অধ্যাপকা মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছীন। তারপর কালের বিবর্তনে মহান আল্লাহ্র মেহেরবাণীতে আজ তা পত্র-পল্লবে সুশোভিত হয়ে বিরাট মহীরূহে পরিণত হয়েছে। যাদের প্রচেষ্টা, অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা বর্তমান অবস্থানে পৌঁছেছে এবং এগিয়ে চলেছে, বিশেষ করে গভর্ণিং বডির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকম-লী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও সর্বস্তরের জনগণ, তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতারসহিত আন্তরিক মুবারকবাদ জ্ঞাপন করছি । ইসলামী জীবনাদর্শ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, অর্থনীতি ও সমাজনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মসলিম সন্তানদেরকে আদর্শ নাগরিক রূপে গড়ে তোলা, বিশেষ করে নৈতিক অবক্ষয় থেকে তরুন সমাজকে রক্ষা ও নারীকে পরিপূর্ণ দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করে চারিত্রিক উৎকর্ষ ও মূল্যবোধ তৈরীর বাস্তব উদ্যোগই হোক এ প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা -এ দোয়াই করছি আমিন।

অধ্যক্ষের বাণী

image-not-found

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনিই ভাবেই দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী এক মহাপুরুষ মরহুম অধ্যাপক মাওলানা মোঃ ইয়াছীন সাহেবও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন সাতানী ইউনিয়নস্থ মঙ্গলকান্দি গ্রামে প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসা। সঠিক ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে প্রতিষ্ঠানটি ২০২২খ্রিস্টাব্দে কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন। আমিন!!!